প্লাটিলেট কি,প্লাটিলেট কেন কমে যায়-

বর্তমানে  ডেঙ্গু জ্বর রোগটি ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে। ডেঙ্গু জ্বর হওয়ার কারণ হলো এডিস মশার কামড়।পরিবেশে উপস্থিত ভাইরাস এডিস মশার মধ্যে সংক্রমিত হলে সেই মশার কামড়ে ডেঙ্গু জ্বর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে অনেক বেশি।

বর্তমানে বাংলাদেশে ডেঙ্গু জ্বরের সংক্রমণ বাড়ার সাথে সাথে মানুষের মধ্যে ডেঙ্গু জ্বরের প্রতি সতর্কতা ও বেড়ে যাচ্ছে। ডেঙ্গু জ্বর হলে কি কি লক্ষণ দেখা দেয় মানুষ সে সম্পর্কে এখন অবগত হয়েছে যার কারণে ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ দেখা মাত্রই তারা সাবধান হয়ে যায় এবং ডেঙ্গু  প্রতিরোধ করার প্রয়াস চালায়।

প্লাটিলেট কি,প্লাটিলেট কেন কমে যায়

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। সম্মানিত ভিজিটর বন্ধুরা আশা করি সবাই আল্লাহ রহমতে ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়। আমি আজকেও একটি নতুন আর্টিকেল নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি। ডেঙ্গু জ্বর বিষয়টির সাথে আমি ,আপনি,আমরা সকলেই পরিচিত। এটি এমন একটি মারাত্মক রোগ যা মানুষের দেহে প্রবেশ করে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটাতে পারে। 


তাই আজকে আমি আর্টিকেলটি সাজিয়েছি প্লাটিলেট কেন কমে,ডেঙ্গু রোগীর কখন প্লাটিলেট লাগে সেই বিষয়গুলো নিয়ে। আজকের এই পোস্টে আর্টিকেলে প্লাটিলেট কেন কমে এবং ডেঙ্গু রোগীর কখন প্লাটিলেট লাগে তা তুলে ধরার চেষ্টা করব।এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে অবশ্যই শেষ পর্যন্ত পোস্টির আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়বেন।আশা করছি শেষ পর্যন্ত পড়ে আর্টিকেলটির সাথে থাকবেন।



ডেঙ্গুর মৌসুম এলেই প্লাটিলেটের কথা বেশি শোনা যায়। এই প্লাটিলেট কী এবং কেনই-বা তা কমে যায়? আমাদের শরীরে থাকা তিন ধরনের রক্তকণিকার একটি হচ্ছে প্লাটিলেট বা অণুচক্রিকা। প্লাটিলেটের মূল কাজ রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করা। শরীরের কোথাও কেটে গেলে দ্রুত রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে প্লাটিলেট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ডেঙ্গু রোগে এই প্লাটিলেট কমে যায়। তবে শুধু ডেঙ্গু নয়, আরও কিছু রোগে বা কারণে প্লাটিলেট কমতে পারে। 


প্লাটিলেট কমে যাওয়ার কারণ-


আমাদের শরীরে প্লাটিলেটের একটি নির্দিষ্ট মাত্রা আছে, সাধারণত প্রতি মিলিলিটার রক্তে দেড় লাখ থেকে চার লাখ প্লাটিলেটের থাকে। স্বাভাবিক এর চেয়ে এটি নিচে নেমে গেলে বা কমে গেলে মেডিকেলের ভাষায় এটিকে বলে থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া।


প্লাটিলেট কমে যাওয়ার প্রধান দুটি কারণ— 


১. প্লাটিলেট ধ্বংস হয়ে যাওয়া। 


২.পর্যাপ্ত পরিমাণে তৈরি না হওয়া।


বিভিন্ন ভাইরাস সংক্রমণ যেমন -ডেঙ্গু, কোভিড-১৯, হেপাটাইটিস বি-র কারণে প্লাটিলেট কমে যেতে পারে। এ ছাড়া কিছু ব্যাকটেরিয়ার ইনফেকশনেও অনেক সময় এ রকম হতে পারে।


কিছু ওষুধের প্রতিক্রিয়া যেমন ক্যানসার-সম্পর্কিত চিকিৎসা এবং কেমোথেরাপির পরও প্লাটিলেট কমে যায়।


রক্তের বিভিন্ন রোগ,যেমন লিউকেমিয়া নামক ব্লাড ক্যানসার বা অন্যান্য ব্লাড ক্যানসারে প্লাটিলেট অনেক সময় কমে যেতে দেখা যায়। অস্থিমজ্জা-সম্পর্কিত বিভিন্ন রোগেও এ রকম হতে পারে।


  • প্লাটিলেট কমে যাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ কারণ অতিরিক্ত মদ্যপান ও লিভারজনিত সমস্যা।


  • রোগ প্রতিরোধ-সম্পর্কিত রোগ, যেমন আইটিপিতে প্লাটিলেট ধ্বংস হয়ে যায়।


  • প্রেগনেন্সির কিছু জটিল সমস্যায়ও প্লাটিলেট অনেকটা কমে যেতে পারে। 


প্লাটিলেট কমে গেলে কী হয়-


প্লাটিলেট কমে যাওয়া বা থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া কোনো মেডিকেল ইমারজেন্সি নয়। অর্থাৎ প্লাটিলেট কমে যাওয়ামাত্রই রোগী রক্তক্ষরণ হয়ে হঠাৎ মারা যায়—বিষয়টি এ রকমও নয়। তবে প্লাটিলেটের মাত্রা যদি অনেক নিচে নেমে যায়, যেমন ১০ হাজারের নিচে, তখন ইন্টারনাল ব্লিডিং মানে শরীরের অভ্যন্তরে  কিডনি,ব্রেন,হার্টের মধ্যে রক্তক্ষরণের ভয় থাকে। 


ল্যাবএইড হাসপাতালের যোগাযোগের সকল মাধ্যম সহ ডাক্তারদের তালিকা -


প্লাটিলেট কমে যাওয়ার লক্ষণ-


বেশ কিছু লক্ষণ দেখা দিলে প্লাটিলেট কমে যাওয়া শনাক্ত করা যেতে পারে। এর মধ্যে আছে—অল্প রক্তপাত , লাল বর্ণের পিনপয়েন্ট স্পট হতে পারে। ত্বকের নিচে রক্তক্ষরণ হয়ে বেগুনি রঙের চিহ্ন শরীরে দেখা দিতে পারে। আমাদের শরীরে কোথাও কেটে গেলে, অনেকক্ষণ ধরে রক্তপাত হতে পারে। মাড়ি বা নাক থেকে রক্তপাত অথবা প্রস্রাব বা মলের সঙ্গেও রক্তপাত হতে পারে।


👉গুগল নিউজে বার্তা ভিলা সাইট ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপর ফলো করুন


ডেঙ্গুতে প্লাটিলেট কমে গেলে-


ডেঙ্গু রোগে প্লাটিলেট কমে যাওয়া একটি সাধারণ ঘটনা। এতে বেশি আতঙ্কিত না হয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। সাধারণত, একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর, শরীরে ডেঙ্গুর প্রভাব কমার সঙ্গে সঙ্গে প্লাটিলেটও আগের অবস্থায় ফিরে আসতে থাকে। একজন চিকিৎসক নিয়মিত রক্তের পরীক্ষায় প্লাটিলেটের পরিবর্তনের ধরনের ওপর ভিত্তি করে রোগীর চিকিৎসা পদ্ধতির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকেন। চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত বৈজ্ঞানিকভাবে স্বীকৃত নয়, এমন কোনো চিকিৎসা নেওয়া উচিৎ নয়।


ডেঙ্গু রোগীর কখন প্লাটিলেট লাগে-


রক্তে তিন ধরনের উপাদান বা কোষ আছে। লোহিত রক্তকণিকা, শ্বেত রক্তকণিকা ও অণুচক্রিকা। ডেঙ্গু রোগীর প্লাটিলেট বা অণুচক্রিকার পরিমাণ আশঙ্কাজনক হারে কমে যেতে পারে, তখন রোগীর অভ্যন্তরীণ অঙ্গে (মস্তিষ্ক, চোখ, পেট ইত্যাদি) অস্বাভাবিক হারে রক্তক্ষরণ হতে পারে। এতে রোগীর মৃত্যুঝুঁকিও থাকে। ডেঙ্গু জ্বর হলে তাই প্লাটিলেট পরীক্ষা করার প্রয়োজন পড়ে। প্লাটিলেট সাধারণত নেমে গিয়ে আবার বাড়তে শুরু করে,অনেক ক্ষেত্রেই এর কোনো চিকিৎসা লাগে না। তবে  চিকিৎসক যদি মনে করেন তবে কারও দান করা রক্ত থেকে অণুচক্রিকা আলাদা করে রোগীর শরীরে দিতে পারেন ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা জন্য ।


রক্ত থেকে অণুচক্রিকা দুইভাবে আলাদা করা যায়। একটা পদ্ধতি হলো র‍্যানডম ডোনার প্লাটিলেট (আরডিপি)। এতে ৪-৬ জন রক্তদাতার কাছ থেকে রক্ত নিয়ে মেশিনের মাধ্যমে অণুচক্রিকাকে আলাদা করে ফেলা হয়।


অপর পদ্ধতিতে আফারেসিস মেশিনের মাধ্যমে রক্তদাতার কাছ থেকে অণুচক্রিকা আলাদা করে নেওয়া হয়। এই প্রক্রিয়ায় রক্তদাতার শরীর থেকে সম্পূর্ণ রক্ত নিয়ে আফারেসিস মেশিনে প্লাটিলেট আলাদা করে ফেলা হয়। রক্তের বাকি উপাদান যেমন-লোহিত রক্তকণিকা, প্লাজমা পুনরায় আবার রক্তদাতার শরীরে ফেরত দেওয়া হয়। এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে ৪৫-৯০ মিনিট সময় লাগে।


আফারেসিস প্রক্রিয়াই উত্তম। কারণএই প্রক্রিয়ায় প্লাটিলেট দিলে প্লাটিলেটের সংখ্যাও দ্রুত বৃদ্ধি পায়। রোগীর রক্ত গ্রহণের প্রতিক্রিয়া কম হয় এবং এতে করে সংক্রমণের ঝুঁকিও কম থাকে। তবে মুশকিল হলো, এর খরচ বেশি। আফারেসিস মেশিনের পাশাপাশি দক্ষ প্রযুক্তিবিদের প্রয়োজন পড়ে।


আফারেসিস রক্তদাতার যোগ্যতা-

একজন সুস্থ মানুষ যে রক্ত দিতে পারবে, তিনি প্লাটিলেটও দিতে পারবে। প্লাটিলেট দান করার জন্য তাকে কিছু বিষয় বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে। দাতার প্লাটিলেট ভালো থাকতে হবে। ওজন ঠিক থাকতে হবে,রক্তদাতার উচ্চতা ভালো থাকতে হবে,রক্তদাতার শিরা স্পষ্ট ও দৃশ্যমান হতে হবে, সাত দিনের মধ্যে যদি রক্তদাতার ব্যথার ওষুধ সেবন করে তাহলে প্লাটিলেট দিতে পারবে না।


আফারেসিস প্রক্রিয়ায় প্লাটিলেট দিলে রক্তদাতা আবার ১৪ দিন পর প্লাটিলেট দিতে পারবেন। তবে সম্পূর্ণ রক্ত দান করলে চার মাস পর আবার রক্ত দান করতে পারবেন।


আফারেসিস প্রক্রিয়ায় যে প্লাটিলেট পাওয়া যায়, তার এক ইউনিট রোগীর শরীরে দিলে প্লাটিলেট বৃদ্ধি পায় ৩০ থেকে ৬০ হাজার পর্যন্ত।


ঢাকার সরকারি হাসপাতাল ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আফারেসিস প্রক্রিয়ায় প্লাটিলেট আলাদা করা যায়। বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালেও এই সুবিধাগুলো আছে। ঢাকার বাইরে যেমন-ময়মনসিংহ, সিরাজগঞ্জ, চট্টগ্রামে এই সুবিধা আছে।



প্লাটিলেট বাড়াতে কী খাবেন-


প্লাটিলেট হলো এক ধরণের রক্ত কোষ, যা রক্তকে জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। একজন সুস্থ মানুষের শরীলে প্রতি ১০০ মিলিমিটার রক্তে প্লাটিলেটের মাত্রা দেড় থেকে চার লাখ থাকা উচিত। আর এই প্লাটিলেটের ওপরই নির্ভর করে মানুষের সুস্থ থাকা। আর তাই শরীরে প্লাটিলেটের অভাব হলে মানুষ সহজে ক্লান্ত হয়ে যেতে পারে এবং খুব সহজে আঘাত পাওয়ার আশঙ্কাও থাকে। নিয়মিত ভিটামিন বি১২ খেলে শরীরে প্লাটিলেটের পরিমাণ বাড়ে। যেকোনো আমিষ খাবারেই আপনি এই ভিটামিন বি১২ প্রচুর পরিমাণে পাবেন। 


ডেঙ্গুর কারণে এই প্লাটিলেটের মাত্রা অস্বাভাবিক ভাবে কমে যেতে পারে। জীবনযাত্রা ও খাদ্যাভ্যাসে কিছু পরিবর্তনের মাধ্যমে এই প্লাটিলেটের মাত্রা আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব। রক্তে কমে যাওয়া প্লাটিলেটের পরিমাণ আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে কিছু খাবারের বিশেষ ভূমিকা আছে যেমন:-পেঁপে ও পেঁপের পাতা।



মালয়েশিয়াভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান,এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলোজিতে করা গবেষণায় দেখা গেছে, পেঁপে পাতার রস ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর রক্তে কমে যাওয়া প্লাটিলেটের পরিমাণ দ্রুত বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। পাকা পেঁপের জুসও প্লাটিলেটের পরিমাণ বাড়াতে পারে। এ জন্য কারও রক্তে প্লাটিলেটের পরিমাণ কমে গেলে তাঁকে প্রতিদিন তাজা পেঁপে পাতা বেটে রস করে ১ চামচ করে দুই বেলা খাওয়ানোর পাশাপাশি পাকা পেঁপের জুসও খেতে দিতে পারেন।


মিষ্টিকুমড়া ও কুমড়ার বীজ-


রক্তে প্লাটিলেট তৈরির উপাদান ভিটামিন ‘এ’মিষ্টিকুমড়ায় রয়েছে । তাই রক্তে প্লাটিলেটের পরিমাণ বাড়াতে নিয়মিত মিষ্টিকুমড়া খেতে পারেন। মিষ্টিকুমড়ার বীজেও রয়েছে প্লাটিলেট বৃদ্ধিকারী উপাদান। তাই ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার কারণে রক্তে প্লাটিলেট কমে গেলে তাঁকে নিয়মিত প্রচুর পরিমানে মিষ্টিকুমড়া ও মিষ্টিকুমড়ার বীজ খেতে দিন। 


পালংশাক-


প্লাটিলেট বাড়াতে সাহায্য করে ভিটামিন কে–সমৃদ্ধ খাবার । তাই ভিটামিন কে–সমৃদ্ধ খাদ্য হিসেবে আপনি পালং শাককে বেছে নিতে পারেন। এতে ফোলেটও রয়েছে, যা প্লাটিলেট এবং কোষের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।


লেবুর রস-


লেবুর রসে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, যা রক্তে প্লাটিলেটের পরিমাণ বাড়াতে খুবই সাহায্য করে। এ ছাড়া এতে থাকা ভিটামিন ‘সি’ প্লাটিলেটকে ধ্বংস হওয়া থেকে রক্ষা করে, লেবুর রস রোগ প্রতিরোধেও ব্যাপক ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই ডেঙ্গু রোগীকে প্রতিদিন লেবুর শরবত খাওয়ানো উচিত ডাক্তার এর মতে।


আমলকী-


আমলকীতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’ ও অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট। ডেঙ্গু রোগীরা নিয়মিত আমলকী খেলে তারা তাদের রক্তের প্লাটিলেট ধ্বংস হওয়া থেকে রক্ষা পাবে। সেই সঙ্গে তাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।


বিটের রস-


বিটের রস মুক্ত র‍্যাডিকেলের হাত থেকে আপনার শরীরকে রক্ষা করে এবং ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে দ্রুত প্লাটিলেট বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। তাই রোগীকে প্রতিদিন বিটের রস খাওয়াতে পারেন।


অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারীর রস-


রক্তকে বিশুদ্ধ করার ক্ষমতা অ্যালোভেরা তে রয়েছে। রক্তে যেকোনো জীবাণুর সংক্রমণ রোধ করতেও অ্যালোভেরা খুবই কার্যকরী। তাই রক্তের প্লাটিলেটের পরিমাণ বাড়াতে ডেঙ্গু রোগীকে নিয়মিত অ্যালোভেরার জুস খাওয়াতে পারেন।


ডালিম-


অনেকের কাছে ডালিম ফলটি খুবই প্রিয়। ডালিমের রস রক্তে প্লাটিলেটের পরিমাণ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে কারণ এতে রয়েছে প্রচুর আয়রন। এ ছাড়া ডালিমের রসে থাকা ভিটামিন শরীরের দুর্বলতা দূরীকরণেও সাহায্য করে। তাই ডেঙ্গু রোগীকে প্রতিদিন ১৫০ মিলিলিটার ডালিমের জুস দেয়া যেতে পারে। এই অভ্যাস দুই সপ্তাহ পর্যন্ত রাখলে ভালো।


খেয়াল রাখা জরুরি-


ডেঙ্গু রোগীর হজমশক্তি অনেকাংশে কমে যায় ফলে বমি ও পেটব্যথা হতে পারে। রোগীর যকৃতে অস্বাভাবিকতার সৃষ্টি হয়ে রক্তে এসজিপিটির পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। তাই রোগীকে বাড়তি মসলা ও তেলচর্বিযুক্ত খাবার না দেওয়াই ভালো। তবে তার খাবারে পর্যাপ্ত পরিমানে আমিষ উপাদান থাকা জরুরি। এ জন্য তাকে মাছ, মুরগি, দুধ, ডিম প্রভৃতি উপকরণের তৈরি বিভিন্ন ধরনের খাবার খেতে দিতে হবে।


আমাদের শেষ কথা-


আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে আলোচনা করা হয়েছে মূলত প্লাটিলেট কেন কমে,ডেঙ্গু রোগীর কখন প্লাটিলেট লাগে,প্লাটিলেট বাড়াতে কী খাবেন। ইতোমধ্যেই আপনারা আজকের আর্টিকেলটি পড়ে বিষয়গুলো সম্পর্কে অবগত হয়েছেন। 


যদি আমাদের ওয়েবসাইটের আর্টিকেল গুলো আপনাদের ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন আমাদের ওয়েবসাইটের কথা। নিয়মিত আরো নতুন নতুন আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। আজকের মতো এ পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post